সাইফুল বাতেন টিটো এলিজা আকবর আপুর মি টু লেখার প্রতিবাদে তার নিজের ব্লগে আত্মপক্ষ সমর্থন করে একটা লেখা লিখেছে। যে লেখাটাও মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ এবং চটি পর্যায়ের। এলিজা আপুর লেখাটি যেহেতু নারী নিউজে প্রকাশিত হয়েছে তাই আমি সাইফুল বাতেন টিটোর মিথ্যাচারপূর্ণ লেখাটির প্রতিবাদও নারী নিউজে মাধ্যমেই জানাচ্ছি।
বিকৃত, ভন্ড, প্রতারক সাইফুল বাতেন টিটো তার কুরুচিপূর্ণ চটিতে আমার সম্পর্কে বলেছেন;- "যাই হোক, অনেক কথা, অনেক আনন্দ। কথা ছিলো আমাদের দেখে যদি একে অপরকে ভালো লাগে রুচিতে কুলায় তবে অবশ্যই আমরা সেক্স করবো। লঞ্চে উঠে কীসের কী? আধাঘন্টার মধ্যে আমাদের উথাল পাতাল সেক্স শুরু হলো। সেক্স শেষে মায়া আমাকে জড়িয়ে ধরে প্রথম কথাটা বললো, 'তোমার প্রেমে পড়ে গেছি'- কিন্তু এখানে আমার জোড়ালো প্রতিবাদ এবং প্রশ্ন, আমার সাথে কখনই তার সেক্স হয় নি। সে পারলে প্রমাণ করুক তার সাথে আমার সেক্স হয়েছে এবং আমরা এক সাথে একই লঞ্চে এসেছি। সত্য হলো আমি তার সাথে কখনই লঞ্চে আসি নি। আমার টিকিট আমার কাছে আছে। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, আমরা আলাদা এসে সদরঘাটে মিট করেছি। প্রবঞ্চক ধর্ষকামী সাইফুল বাতেন টিটো মূল অপরাধ আড়াল করতে গিয়ে যা বলেছে;- "বের হবার আগে আমরা সবাই বেশ চার্মিং মুডে আছি। শিখা আপু বললে চলো আজ আবার সেলফি তুলি। একই পোজ। আমার ডান পাশে মায়া, বামপাশে শিখাপু, আমি দু’জনের গলায় হাত দেয়। ঠিক ঐ সময়ে করলাম ঐ ভয়ঙ্কর অপরাধটি। কী ভাবে বর্ণনা করছি। ধরুন হঠাৎ করে প্রেমিকার গালে টুস করে চুমু খেয়ে কিশোর প্রেমিক এদিক সেদিক তাকায় না? ঠিক ঐ ভাবে আমি শিখাপুকে চুমু খেলাম। কিন্তু চুমুটা খেলাম ঘাড়ে। সাথে সাথে শিখাপুর দুষ্টি পরিবর্তন হয়ে গেলো। বুঝতে পারলাম উনি বিষয়টি ভালোভাবে নেন নি। সাথে সাথে আমি সিটকে সরে এলাম। বললাম ‘স্যরি, স্যরি। শিখাপু তোমার খারাপ লাগলে আমি আন্তরিক খাবে দুঃখিত।’ তখন মায়াও একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো। শিখাপুর মুখে রাগ মিশ্রিত হাসি। তবে সেটা প্রশ্রয়ের হাসি ছিলো না। আমার মনটা কেমন খচখচ শুরু করলো। তারপরও আমরা হেলিপ্যাডে গেলাম, চারজন মিলে ছবি তুললাম। কিন্তু আমার ভিতরের খচখচানি আর গেলো না। রাতে মায়া নিজেই আমাকে বলল ‘ঐ বিষয়টি কিন্তু শিখা আপু ভালোভাবে নেন নি।’ এবার আমার মনে উথালপাথাল শুরু হয়ে গেলো। আমি বললাম ‘এমন আচরণ যদি কোনো মেয়ের সাথে করা হয় আর সে সেটাকে ভালোভাবে না নেয় তবে অবশ্যই সেটা যৌন হয়রানি। মারাত্মক অন্যায়। শাস্তিযোগ্য অপরাধ’।" তখন সেলফি তোলার কথাটা শতভাগ মিথ্যা। আর টিটোর সেই ঘটনায় আমি এখন পর্যন্ত হতভম্ব হয়ে আছি। কষ্ট পেয়েছি, ভয়ানক লজ্জা পেয়েছি। তার মিথ্যাচারে আমি যারপরনাই অবাক। দ্বিতীয়ত, সে তার লেখাতে ইনিয়ে বিনিয়ে অনেক ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছে যে আমি নাকি তাকে এলিজা আপুকে সেক্সুয়ালি হ্যাপি করার জন্য উৎসাহ দিয়েছি। তাই সে নাচতে নাচতে এলিজা আপুর গলায় গিয়ে চুমো খাইছে।
হায়রে মিথ্যুক! এলিজা আপু হচ্ছে আমার বড় বোনের মতো এক কথায় তার সাথে আমার সম্পর্ক হলো বোন এবং বন্ধুর মতো। আমার আপন বোনের মতোই আমি তাকে শ্রদ্ধা করি। সেও আমাকে ছোট বোনের মতো আদর করে। প্রবঞ্চক টিটো নিজের অপরাধ ঢাকতে যেভাবে মিথ্যাচার করেছে তা কোনো মানুষ করবে না। সে তার সম্পূর্ণ লেখায়, নিজেই প্রমাণ করেছে যে, সে কতটা বিকৃতমস্তিষ্কের অসুস্থ মানুষ। যা ভাবতেও আমার ঘেন্না হচ্ছে। তৃতীয়ত, ধর্ষকামী টিটো বলেছে; আমি নাকি টিটোর প্রেমে পড়ে গেছি! এসব কথা বলে সে নিজেকে হিরো বানাতে চেয়েছে। কিন্তু ধর্ষকামী টিটোর প্রেমে পড়া তো দুরের কথা টিটোকে বন্ধু হিসেবে পরিচয় দিতেও আমার লজ্জা হয়েছিলো সাজেক গিয়ে। ধর্ষকামী টিটো এলিজা আপুর সাথে যে অপরাধ করেছে সেটার জন্য বরং আমি আপুর কাছে নগ্নভাবে ছোট হয়েছি। এরকম ধর্ষকামী বন্ধু যেন কারো কপালে না জোটে। এই ধর্ষকামী পশু-পুরুষ থেকে মেয়েরা নিরাপদ দুরত্বে থাকবেন। এই প্রকার পশুর কাছে দুনিয়ার সকল নারীই হলো ছিদ্রযুক্ত প্রানী। এরা মানুষ হবে কবে? শেষ কথা, টিটোর এরকম জঘন্য কাজে আমি তখন অপরাধবোধে ভুগেছি এজন্য যে আমার এইরকম একটা ধর্ষকামী বন্ধুর জন্য আপু'র আমার প্রতি খারাপ ধারণা হলো। তার সামনে তখন আমি যেন দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলাম না! সেই অনুভূতি কাউকে বোঝানো যাবে না। আপু আমার সেই অবস্থা দেখে বলছিলো, 'তুমি কেনো মন খারাপ করতেছ? এখানে তো তোমার কোনো দোষ নাই। তুমি তো আর তাকে জেনেশুনে আনো নাই। তবু আমার মনে হয়েছিলো এরকম বন্ধু লাইফে যেন আর কারো না আসে, যাকে নিয়ে চললে অন্যদের কাছে মানসম্মান থাকে না। আর একটি কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, এলিজা আপু পুরো ঘটনাটি যে ভাবে বর্ণনা করেছে তা পুরোপুরিভাবে সত্য। যার প্রত্যক্ষ সাক্ষী আমি।