রীতা রায় মিঠু

লেখক।

দিস ইজ আমেরিকা! এদেশে বর্তমানটুকুই সত্যি, বাকী সব মিথ্যে!

আজ থেকে আমেরিকার বাতাসে ডলারেরা ডানা মেলে উড়তে শুরু করেছে। কারণ সারা বছর দেয় ট্যাক্স রিটার্ন শুরু হয়েছে। আমেরিকার সাধারণ জনগণ বছরের এই সময়টির দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকে। ট্যাক্স রিটার্ন থেকে এক থোকে বেশ অনেকটা টাকা হাতে আসে বলেই তাদের এই অপেক্ষা!

ধনীদের কথা বাদ দিলাম, কারণ ধনী মানেই ধনী, সাধারণের চেয়ে অনেক উপরে তাদের অবস্থান। সব দেশেই ধনীদের প্রচুর ধন সম্পদ থাকে। তবে এদেশের ধনীদের সাথে আমাদের দেশের ধনীদের মূল পার্থক্য হচ্ছে, এদেশের ধনী ব্যক্তিরা প্রচুর দান-ধ্যান করেন, আমাদের দেশের ধনীরা দান করার কথা জানেই না, বরং বাড়ীর মালী থেকে শুরু করে গৃহভৃত্যকেও শোষণ করেন। আর এদেশের সাধারণ জনগণের সাথে আমাদের দেশের সাধারণ জনগণের মূল পার্থক্য হচ্ছে, এদেশের সাধারণ মানুষ না খেতে পেয়ে মরে না, বিনা চিকিৎসায়ও মরে না। সরকারী তহবিল থেকে নানারকম সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে, যেখানে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ নুন ভাত খেতে গিয়েও চোখে সর্ষে ফুল দেখে।

আমেরিকার স্বল্প আয়ের জনগণের গল্প বলি। আমি থাকি মিসিসিপিতে। মিসিসিপি হচ্ছে আমেরিকা নামক ধনী দেশটির সবচেয়ে গরীব রাজ্য। এই রাজ্যের অধিকাংশ মানুষ সরকারী অনুদান গ্রহণ করে। সাধারণ জনগোষ্ঠীর শতকরা নব্বই ভাগ লোক 'ফুড স্ট্যাম্প', মেডিকেইড সুবিধা ব্যবহার করে থাকে। ফুডস্ট্যাম্প হচ্ছে খাবার কেনার জন্য সরকারের কাছ থেকে পাওয়া অনুদান। 

মিসিসিপিতে কিশোরী মায়ের সংখ্যা প্রচুর। এই কিশোরী মায়েরাও তাদের বাচ্চার লালন-পালন বাবদ সরকারী ভাতা পেয়ে থাকে। বাচ্চার খাবার তো ফ্রী আছেই। স্কুল, কলেজে অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে, গরীবদের জন্য ন্যায্যমূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে।

তবে ধনী আর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে এক জায়গায় মিল আছে, উভয় পক্ষকেই প্রতি পদে পদে রাজ্য সরকার এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ট্যাক্স জমা দিতে হয়। ট্যাক্স ফাঁকী দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। দোকান থেকে একখানা বিস্কুট কিনলেও যেমন ট্যাক্স দিতে হয়, সাত তলা দালান তুলতেও ট্যাক্স দিতে হয়। বছর শেষে নতুন বছরের শুরুতে সরকারী হিসেব অনুসারে এক বছরে দেয় ট্যাক্সের অনেকখানি ফেরত পায়। এটাকে বলে ট্যাক্স রিটার্ন মৌসুম। ধনীরা বছর শেষে দেয় ট্যাক্স থেকে কতটুকু রিটার্ন পায় জানি না । তবে দরিদ্র জনগোষ্ঠী দেয় ট্যাক্সের প্রায় পুরোটাই ফেরত পায়। যে পরিবারে শিশু সংখ্যা বেশী, তারা ট্যাক্স রিটার্নে ঈর্ষণীয় পরিমান টাকা ফেরত পায়। 

আমি দারিদ্র্যসীমার কিছুটা উপরে আছি বলেই বোধ হয় ট্যাক্স রিটার্ন থেকে কিছু পাই না, এই নিয়ে আমার মনে চাপা কষ্ট আছে। মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয়, দরিদ্র হয়ে যাই, ক্ষতি কিছুতো নেই, ফুড স্ট্যাম্প পাব, মেডিকেইড পাবো, বছর শেষে ট্যাক্স রিটার্ন থেকে এক থোকে অনেকগুলো টাকা পাবো।

আমি লেখাটি শুরু করতে চেয়েছিলাম খুবই হালকা মেজাজে, কিন্তু লেখা শুরু করার পর লেখার গতি কেমন যেন খটমট হয়ে যাচ্ছে। মূল গল্পে চলে আসি।

আজ ওয়ালমার্টে আমার কাজের স্কেজিউল ছিলো বিকেল চারটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত। শর্ট আওয়ার স্কেজিউল বলে এটাকে। বাড়ীতে সারাদিন বেশ আয়েস করে কাটালাম, এরপরে ধীরে সুস্থে ওয়ালমার্টে পৌঁছে দেখি, গাড়ী পার্ক করার জায়গা নেই। এত বেশী গাড়ী ছিলো পার্কিং লটে যে আমাকে গাড়ী রাখতে হয়েছে মূল বিল্ডিং থেকে অনেকটা দূরে।

বৃষ্টি পড়ছিলো অঝোরে, সাথে পিলে চমকানো বজ্রপাত। ছাতা মেলে দিয়ে জোরে পা চালিয়ে ঢুকে গেছি ওয়ালমার্টের ভেতর। দেখি, স্টোরের ভেতর কাস্টমারের ভীড়। আমাদের শহরে যে কোনো উপলক্ষে মানুষ ওয়ালমার্টে চলে আসে। ওয়ালমার্টটাই যেন চেনার বাইরে নতুন এক পৃথিবী। আবহাওয়া একটু খারাপ হলেও মানুষজন পিলপিল করে ওয়ালমার্টে চলে আসে। আজকেও তার ব্যতিক্রম হয় নি। 
আমি চট করে নেম ব্যাজসহ আমার ডিপার্টমেন্টে পৌঁছে দেখি, মানুষজন লাইন দিয়ে টিভি কিনছে। ইলেকট্রনিক্স ডিপার্টমেন্ট আমাদের অয়্যারলেস ডিপার্টমেন্টের পাশাপাশি বলেই মানুষজনের আনাগোনা বেশী নজরে আসে। আজ কেনো এত মানুষ, সেটা বুঝতে পারি নি। এক ভদ্রমহিলা হাতে টুকিটাকি জিনিস নিয়ে আমার রেজিস্টারের কাছে এসে খুব বিনয়ের সাথেই জিজ্ঞেস করলো,

"আমি খুব অল্প দুই একটা জিনিস হাতে নিয়ে ঘুরছি, দাম দিতে গেলে বিরাট লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে, তুমি কী দয়া করে তোমার এখানে আমার এই কয়েকটি জিনিস চেক আউট করতে দিবে?

-অবশ্যই করে দিচ্ছি। আজকে এত ভীড় কেনো? কোনো উপলক্ষ্য আছে?
-ট্যাক্স রিটার্ন শুরু হয়েছে। এরা সবাই আজ এক থোকে কিছু টাকা পেয়েছে। এখনই খরচ না করতে পারলে শান্তি লাগছে না মনে!
-টাকাটা তো পেয়েছে যে কোনো সময় খরচ করার জন্য। আজ এমন বৃষ্টির মধ্যে কেউ টিভি, সেল ফোন, ডিভিডি প্লেয়ার কিনতে আসে?

-"মিসিসিপিবাসীর ডলারে পাখা গজিয়েছে, এখন ডানা মেলে উড়ছে! শুধু কী বৃষ্টি! কী জোরে জোরে বজ্রপাত হচ্ছে"!

-তাইতো দেখছি, আজ কত ফোন যে বিক্রী হলো, তার হিসেব নেই!

-হুম! নিত্য নতুন ফোন কিনবে, গাড়ী ড্রাইভ করার সময় টেক্সট করায় ব্যস্ত থাকবে আর দিবে একটা অ্যাকসিডেন্ট বাঁধিয়ে! এইসব ফ্যান্সী জিনিস প্রতিদিনই মডেল চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে, এমন প্রতিযোগীতা করে কেনার দরকারটা কী বাপু!

-হা হা হা! তুমি তো দেখছি আমার মতো করে কথা বলছো। আমি তো খুব হিসেবী, প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাউকে খরচ করতে দেখলে কেমন যেনো অস্বস্তি লাগে!

-দিস ইজ আমেরিকা! এখানে বেহিসেবী জীবন-যাপনেই মানুষ আনন্দ পায়। তুমি হিসেবী আছো, ভালো আছো। আমি অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছি, তাই প্রয়োজনের বাইরে খরচ করি না। আমার ছেলেও আজ ট্যাক্স রিটার্নের টাকা হাতে পেয়েছে, সে তখনই টাকা খরচ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। দিয়েছি এক ধমক, বলেছি, টাকা পালিয়ে যাবে না, টাকা হাতে রাখো, জমে থাকা বকেয়া বিল শোধ করে দিবে এই টাকায়।

-বাহ! খুব ভালো কথা বলেছো। ঠিক আছে, আবার দেখা হবে তোমার সাথে।

মহিলা বিদায় নেয়ার আগেই আমার রেজিস্টারের ফোন বেজে উঠলো। ফোন ধরতেই ওপাশ থেকে মেয়েলী কন্ঠে জানতে চাইলো,

"আচ্ছা শোন, আমি কয়েকদিন আগে তোমাদের স্টোর থেকে ফোন সার্ভিস নিয়েছিলাম। তখন আমি এলজি অপটিমাস এল৯ নিয়েছি। ফোনে লেখা ছিলো ৪জি নেটওয়ার্ক, কিন্তু আসলে এটা ২জি নেটওয়ার্ক। আমি দুই দিন ধরে একবার স্টার্কভিল যাচ্ছি, আরেকবার ওয়েস্ট পয়েন্ট যাচ্ছি, কিন্তু কারো কাছে গ্যালাক্সী ২ বা গ্যালাক্সী ৩ পাচ্ছি না।"

এত বেশী কর্কশ আর হড়বড় করে কথাগুলো বলছিলো মেয়েটি যে আমি কথার মাথামুন্ডু কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। তবুও আন্দাজে ঢিল ছুঁড়লাম, আমাদের স্টোরে গ্যালাক্সী ২ এবং থ্রী দুটোই আছে।

-আছে? তোমাদের কাছে গ্যালাক্সী থ্রী আছে? আমি এখনই রওনা হচ্ছি।

-আজ না এলে হয় না? বাইরে তো খুব বৃষ্টি হচ্ছে।

-না, আমি আজকেই চাই ফোন।

অপেক্ষা করতে থাকলাম সেই কর্কশকন্ঠী'র জন্য। এক ফাঁকে খেয়াল করলাম, এতটুকু সময়ের মধ্যেই ৫৫-৬০ ইঞ্চি স্ক্রিন সাইজের পাঁচখানা টিভি বিক্রী হয়ে গেলো! একেকটা জিনিসের কী দাম! কিন্তু এরা দেখি পকেট থেকে ডলারের গোছা বের করছে আর দাম দিচ্ছে। 
কর্কশকন্ঠী এসে পৌঁছার আগেই এক মা এলেন তার কিশোরী কন্যাকে নিয়ে। কন্যা একটি 'আইপ্যাড' কিনতে চাইছে, সাথে ২০০ ডলার দামের 'হেডফোন' ও কিনতে চাইছে। ৭৯৯ ডলার দামের 'আইপ্যাড' আর ২০০ ডলার দামের 'হেডফোন হাতে পেয়ে কন্যার মুখে হাসি ফুটতে দেখে আমি মনে মনে প্রমাদ গুনছিলাম। ভাবছিলাম, মেয়েদের তো এদেশে এনে বড় করছি, দু'জন বড় হয়ে গেছে, কিন্তু ছোটজন তো এখন বড় হচ্ছে। কোনদিন না জানি আমার কাছেও এসে আবদার করে, "আমার সব বন্ধুদের সবকিছু আছে, আমারই শুধু নেই"!

মা'কে জিজ্ঞেস করলাম, "আচ্ছা, ওতো এখনও অনেক ছোট, এখনই ওকে এত দামের জিনিস কিনে দিচ্ছো কেনো!

-ওর অনেক শখ ছিলো, ওর অন্য কাজিনের আছে আইপ্যাড, তাই ওকেও দিলাম কিনে।

হন্তদন্ত হয়ে সেই কর্কশকন্ঠী এসে উপস্থিত। গলার স্বর আর রূঢ় আচরণের সাথে মেয়েটির চেহারার কোনোা মিল নেই। চেহারাখানি ভারী মিষ্টি। সে কোলে করে এনেছে বছর খানেকের এক বাচ্চা, আর পাশে করে নিয়ে এসেছে ১০-১২ বছরের বালিকা। তার উপস্থিতিতে বুঝতে পেরেছি, সে কয়েকদিন আগে ৩৫০ ডলার দামের এলজি অপটিমাস পেয়েছিল মাত্র ৯৭ পয়সায়। আর আজ সে সেই ফোন পালটে ৬০০ ডলার মূল্যের স্যামসাং গ্যালাক্সী থ্রী কিনতে চাইছে ৯৮ ডলারে। তা কোন রঙ পছন্দ, জানতে চাইলে সে কিছুটা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে যায়। একবার বলে, গ্যালাক্সী থ্রী দাও, আবার বলে গ্যালাক্সী টু দাও।

আগের ফোনে সমস্যা হলো, ওটা নাকি টু জি ফোন। ইন্টারনেট নাকি চলেই না। ওকে আশ্বস্ত করে আমার কাজ শুরু করতে যাবো, কর্কশকন্ঠী তার মত পালটে এবার 'স্যামসাং গ্যালাক্সী নোট ২ কিনতে চাইলো। ৭০০ ডলার দামের ফোন ২৭৮ ডলারের বিনিময়ে। মেয়েটির চেহারা দেখে মনে হচ্ছিলো না যে সে আদৌ এত দামী ফোনের উপযুক্ত! শুধুমাত্র তার হাতে টাকা আছে এবং এই ফোনটিই সবচেয়ে দামী, শুধু সেজন্য সে এই ফোন কিনতে চাইছে। আমার কি, তার পয়সা সে খরচ করছে।

আমি যখন ফোন অ্যাক্টিভেট করছিলাম, কর্কশকন্ঠী তার সাথে আসা বালিকার সাথে কথা কাটাকাটি করছিলো। বালিকা জানতে চেয়েছে,

"এতগুলো টাকা দিয়ে তুমি এই ফোন কেনো কিনছো?"
-এগুলো আমার টাকা, আমি ট্যাক্স রিটার্নে পেয়েছি, তাই আমি কিনছি।
-অন্যটা কেনো, আরও কম দামের ফোন আছে তো!
-না, আমি এটাই কিনবো। আমার টাকা আমি নিজের ইচ্ছেমতো খরচ করবো।
-কিন্তু তুমি তো একটার দাম দিয়ে দুইটা ফোন কিনতে পারো। আমাকেও একটা দাও।
-আরে যা যা! আমার অনেক শখ ছিলো, জেনেটার মতো আইফোন কেনার, এখন আমি আইফোনের চেয়েও দামী ফোন কিনে ফেলেছি।

ওদের দু'জনের কথোপকথন শুনে মনটা কেনো যে ভারী হয়ে এলো! আমি সব সময় খেয়াল করেছি, অনেকেই ফোন কিনে ঝোঁকের মাথায়। হাই টেকনোলজীর ফোন দিয়ে ওরা কী করে! যে সকল ফোন শুধুমাত্র প্রফেশনালদের জন্য প্রযোজ্য, সেই ফোন যদি ম্যাকডোনাল্ড'স এর 'বার্গার ভাজুনীর' হাতে শোভা পায়, ভালো লাগে? আমার সামনে দাঁড়ানো কর্কশকন্ঠী এই গ্যালাক্সী নোট দিয়ে কী করবে, তা ঈশ্বরই জানেন। কতগুলো পয়সা ফেলে দিয়ে যাচ্ছে, হাতে রেখে দিলে কোলের বাচ্চাটার জন্য জমিয়ে রাখতে পারতো! কখন কোন প্রয়োজনে লাগে, তার ঠিক আছে?

ফোন হাতে ওরা বিদেয় হয়ে গেলো, ততক্ষণে ইলেকট্রনিক্স ডিপার্টমেন্টে আরও কয়েকটি টিভি, এক্সবক্স ৩৬০, ব্লু রে ডিভিডি প্লেয়ার, আইপ্যাড, আইপড, নুকসহ বেশ কিছু প্রচন্ড দামী আইটেম বিক্রি হয়ে গেছে। কাস্টমারের ভীড় একটু কমতেই পাশের সহকর্মীকে জিজ্ঞেস করলাম,

"আচ্ছা, ট্যাক্স রিটার্নে যে টাকা পাওয়া যায়, এটা তো নিজেরই টাকা, আকাশ থেকে তো আর ঝরে পড়ছে না, নিজের টাকা এভাবে হামলে পড়ে খরচ করার কী দরকার বলো তো! টাকাগুলো জমিয়ে রাখলে পরবর্তীতে কত কাজে লাগতে পারে!

সহকর্মীর উত্তরঃ "দিস ইজ আমেরিকা! এদেশে বর্তমানটুকুই সত্যি, বাকী সব মিথ্যে!

4558 times read

নারী'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত নারী'র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় নারী কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। নারীতে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।